ঢাকা থেকে: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মোবাইল ফোনে সুইট ও সিরিয়াস আলাপকালে রাস্তা পারাপার করবেন না। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে চলাচলও বন্ধ করতে হবে। মোটরসাইকেল আরোহী ও চালক দু’জনকে হেলমেট পরতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘১১তম ঢাকা মোটর শো, দ্বিতীয় ঢাকা বাইক শো ও অটোপার্টস শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্বের খ্যাতনামা প্রায় ১৫টি ব্রান্ড এবং নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল যন্ত্রাংশ শিল্পের উদ্ভাবক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গাড়ি এসে আপনাকে চাপা দিয়ে যাচ্ছে আর আপনি মোবাইলফোনে সুইট ও সিরিয়াস আলাপ করছেন। এতে শুধু গাড়ির ওপর দায় নয়, আপনারও দায় আছে।
ত্রিশালের ইউএনও’র নিহতের ঘটনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীকে অবশ্যই হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে চলাচল করতে হবে।
ভূমি অফিসের কর্মচারীর মোটরসাইকেলে করে সরকারি কাজে ত্রিশালে যাওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম নিহত হন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এখন অনেকেই সতর্ক হয়েছেন। এজন্য হেলমেট ব্যবহার কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে এখনও হেলমেট ছাড়াই অহরহ মোটরসাইকেলে চলাচল করা হচ্ছে।
অবৈধ মোটরসাইকেলে দেশ ভরে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়কে বারবার অনুরোধ করার পর রেজিস্ট্রেশন ফি আদায়ে কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এতে তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমি এখনও আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে রেজিস্ট্রেশন ফি আরও কমানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় বড় ও পাবলিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নতুন সড়ক পরিবহন আইনে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নীতিমালায় কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। পরিবার প্রতি গাড়ির ব্যবহারও নির্দিষ্ট করা হবে।